বই পড়া সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর বাংলা ১ম পত্র এস এস সি-PDF

বই পড়া সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর সংগ্রহ করতে পোস্ট টি পড়ুন। নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ১ম পত্রের বই পড়া প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো এই পোস্টে দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে একটি পিডিএফ ফাইল শেয়ার করেছি। এই প্রশ্ন গুলো অনুশীলনের মাধ্যমে বোর্ড প্রশ্ন সম্পর্কে ধারনা পেয়ে যাবেন। নিচে প্রশ্ন গুলো দেওয়া আছে দেখেনিন।

বই পড়া সৃজনশীল প্রশ্ন

এখানে সৃজনশীল গুলো দেওয়া হয়েছে। নিজেরা প্রশ্নের উত্তর গুলো লেখার চেষ্টা করবেন। এজন্য প্রথমে গল্প টি পড়ে নিবেন। পোস্টের শেষে গল্পটির পিডিএফ লিঙ্ক দেওয়া আছে। সেখান থেকে গল্প টি পড়ে নিতে পারবেন। বই পড়া সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো দেখেনিন।

সৃজনশীল ১

সেলিম খান একজন বিশিষ্ট উকিল। ওকালতিতে সুনাম অর্জনের জন্য তিনি সর্বদা আইনবিষয়ক বই পড়েন। এর বাইরে তিনি কোনো বই পড়েন না এবং কেনেন না। কারণ তিনি মনে করেন, পেশাগত বই না পড়ে সাহিত্যের বই পড়লে পেশার উন্নয়ন হবে না।

ক. ‘বই পড়া’ রচনার লেখক কে? খ. প্রমথ চৌধুরী সাহিত্যচর্চাকে শিক্ষার প্রধান অঙ্গ বলেছেন কেন?
গ. উদ্দীপকের সেলিম খানের ভাবনার সঙ্গে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখকের ভাবনার বৈসাদৃশ্যের দিকটি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. সেলিম খানের মতো অসংখ্য বাঙালির দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য কী করা প্রয়োজন বলে তুমি মনে করো? উদ্দীপক ও ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল ২

সাধারণত জাতীয় জীবনের অগ্রগতি দুটি ধারায় হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড ও স্বার্থরক্ষার দিক, অন্যটি হচ্ছে সাহিত্যশিল্প সৃষ্টি ও মননচর্চার দিক। যে জাতি কেবল প্রথম ধারাটি নিয়ে ব্যস্ত থাকে, সে জাতি উঁচু জীবনের অধিকারী হতে পারে না। তাই উন্নত জাতি গঠনে মানসিক ও আত্মিক সাধনা অপরিহার্য। আর সেক্ষেত্রে লাইব্রেরির ভূমিকা ও অবদান অসামান্য। গ্রন্থাগার তাই জাতীয় বিকাশ ও উন্নতির মানদণ্ড। গ্রন্থাগার ব্যবহার ও বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা ছাড়া জাতীয় চেতনার জাগরণ হয় না।

ক. ডেমোক্রেসির গুরুরা কী চেয়েছিলেন?
খ. যে জাতি যত নিরানন্দ সে জাতি তত নির্জীব। -কথাটি বুঝিয়ে লেখো।
গ. ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে প্রকাশিত লাইব্রেরি সম্পর্কে লেখকের মনোভাব উদ্দীপকে যেভাবে প্রকাশ পেয়েছে তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘যে জাতি কেবল প্রথম ……… অধিকারী হতে পারে না।’ উদ্দীপকের এ বাক্যটির যথার্থতা ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো।

বই পড়া সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

এই অংশে বই পড়া সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর দেওয়া আছে। যারা নিজে নিজে প্রশ্ন গুলোর উত্তর লিখতে পারেননি, তারা উত্তর গুলো সংগ্রহ করে নিন। পাঠ্য বই থেকে উত্তর গুলো সংগ্রহ করে দেওয়া হয়েছে।

উত্তর ১ঃ 

ক. ‘বই পড়া’ রচনার লেখক প্রমথ চৌধুরী।

খ. সাহিত্যচর্চার দ্বারা স্বশিক্ষিত হওয়া যায় বলে প্রমথ চৌধুরী সাহিত্যচর্চাকে শিক্ষার প্রধান অঙ্গ বলেছেন।

সাধারণ অর্থে শিক্ষা বলতে আমরা কেবল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকেই বুঝে থাকি। এই শিক্ষার গণ্ডি অত্যন্ত সীমাবদ্ধ এবং বাধ্য হয়ে গ্রহণ করতে হয় বলে এতে কোনো আনন্দ নেই। প্রকৃতপক্ষে শিক্ষাগ্রহণের পরিধি আরও বৃহত্তর। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরেও আরও অনেক উপায়ে মানুষ শিক্ষা লাভ করে। সাহিত্যচর্চার মাধ্যমেই সবচেয়ে স্বচ্ছন্দ ও পরিপূর্ণভাবে শিক্ষা লাভ করা যায়। সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে মানুষ আত্মশক্তিসম্পন্ন হয়ে সুশিক্ষিত হয়ে ওঠে। প্রমথ চৌধুরী এ কারণে সাহিত্যচর্চাকে শিক্ষার প্রধান অঙ্গ বলেছেন।

গ. ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখক সাহ্যিচর্চার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করলেও উদ্দীপকের সেলিম খান এটিকে অপ্রয়োজনীয় মনে করেছেন।

‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখক প্রমথ চৌধুরী জ্ঞানার্জনের জন্য বইপড়ার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। প্রবন্ধে লেখক পেশাগত উন্নয়নের জন্যেও সাহিত্যের বই পড়ার পক্ষে যুক্তিনিষ্ঠ বক্তব্য তুলে ধরেছেন। লেখকের ধারণা, যাদের জ্ঞানের ভাণ্ডার শূন্য, তাদের ধনের ভাণ্ডারও শূন্য। যে জাতি জ্ঞানে বড় নয়, সে জাতি মনেও বড় নয়। আর জাতিকে ধনে ও মনে বড় হতে হলে সাহিত্যের বই পড়া অপরিহার্য।

উদ্দীপকে পেশার সাথে সম্পর্কহীন বই পড়ার প্রতি অনীহা সম্পর্কে আলোচিত হয়েছে। সেলিম খান একজন বিশিষ্ট উকিল। ওকালতিতে সুনাম অর্জনের জন্য তিনি আইনবিষয়ক বই ছাড়া অন্য কোনো বই পড়েন না। তাঁর ধারণা, সাহিত্যের বই বা অন্য কোনো বই পড়ে পেশার উন্নয়ন সম্ভব নয়। সেলিম খানের ভাবনার সঙ্গে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখকের ভাবনার বৈসাদৃশ্য হলো, একজনের সৃজনশীল বই পড়ার প্রতি অনীহা আর অন্যজনের সেটির প্রতি গুরুত্ব আরোপ।

ঘ. সেলিম খানের মতো অসংখ্য বাঙালির দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া আর তার জন্য প্রয়োজন সৃজনশীল সাহিত্যচর্চা।

‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক আমাদের সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য বই পড়ার কথা বলেছেন। পেশাগত উন্নয়নের জন্যও বই পড়ার পক্ষে যৌক্তিক মন্তব্য পেশ করেছেন। লেখকের মতে, যে জাতি যত শিক্ষিত, সে জাতি তত উন্নত। তিনি আরও বলেন, দর্শন, বিজ্ঞান প্রভৃতি সাহিত্যের ভেতরই পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়। তাছাড়া সাহিত্যচর্চার মাধ্যমেই মানুষ প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ওঠে। আর প্রকৃত শিক্ষা মানুষের মনের দরজা উন্মুক্ত করে দেয়। মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করে। ফলে তাদের দৃষ্টিভঙ্গিরও পরিবর্তন ঘটে।

উদ্দীপকে বই পড়ার প্রতি অনীহা তুলে ধরা হয়েছে। সেলিম খান একজন বিশিষ্ট উকিল। তিনি মনে করেন, ওকালতি পেশায় সুনাম অর্জনের জন্য কেবল আইনবিষয়ক বই পড়ার প্রয়োজন। সাহিত্যের বই পড়ে কখনও পেশার উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব নয়। সেলিম খানে মতো অসংখ্য বাঙালি আনে যাঁরা মনে করেন, পেশার উন্নয়নের জন্য শুধু পেশাসংশ্লিষ্ট বই পড়লেই হয়। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে প্রমথ চৌধুরী এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

আমাদের সমাজে এমন কিছু স্বার্থপর লোক আছে যারা নিজ পেশা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তাদের ধারণা, সাহিত্যচর্চা মানুষের ব্যক্তিসত্তার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটায় না। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সাহিত্যই একমাত্র বিষয়, যা পাঠের মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ও চিন্তা-চেতনার পরিবর্তন ঘটে। উদ্দীপকে বর্ণিত সেলিম খান কেবল পেশাগত বইগুলোই পড়েন। সাহিত্যচর্চায় তার আগ্রহ নেই। এ কারণে তাঁর জ্ঞানের পরিধি হবে গণ্ডিবদ্ধ। তাঁর অর্জিত শিক্ষা পূর্ণাঙ্গ রূপ লাভ করবে না। কিন্তু তিনি যদি প্রয়োজনীয় বইগুলোর বাইরে স্বচ্ছন্দচিত্তে অন্য বই পড়তেন তবেই তিনি যথার্থ শিক্ষিত হতে পারতেন। সাহিত্যচর্চা মানুষের মনকে সতেজ ও সরাগ করে। জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে মানসিক সুস্থতা অপরিহার্য আর মনকে সুস্থ রাখার জন্য চাই সৃজনশীল সাহিত্যচর্চা।

উত্তর ২ঃ 

ক. ডেমোক্রেসির গুরুরা চেয়েছিলেন সবাইকে সমান করতে।

খ. মনের স্ফূর্তিই সকল কল্যাণের উৎস। তাই যে জাতির প্রাণশক্তি কম তারা খুব বেশি উন্নতি করতে পারে না।

কেবল দেহের চাহিদা পূরণ হলেই মানুষের সন্তুষ্টি হয় না। তার পাশাপাশি চাই মনের আনন্দ। আনন্দের স্পর্শে মানুষের মনপ্রাণ সজীব ও সতেজ হয়ে ওঠে। অন্যদিকে মনে আনন্দ না থাকলে কোনো কিছুতেই উৎসাহ পাওয়া যায় না। তাই যে জাতি প্রাণশক্তিতে দুর্বল তারা কর্মশক্তিতেও অগ্রগামী নয়।

গ. লাইব্রেরির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে উল্লিখিত লেখকের মনোভাব উদ্দীপকে প্রকাশিত হয়েছে।

বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক লাইব্রেরিকে হাসপাতালের সাথে তুলনা করেছেন। কেননা যথার্থ শিক্ষিত হতে হলে মনের প্রসার দরকার। যে জন্য বই পড়ার অভ্যাস বাড়াতে হবে। লাইব্রেরিতে লোকে নিজের পছন্দ অনুযায়ী বই পড়ে যথার্থ শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারে। লেখক লাইব্রেরিকে স্কুল কলেজের ওপর স্থান দিয়েছেন। কারণ এখানে লোকেরা স্বেচ্ছায় স্বচ্ছন্দচিত্তে স্বশিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পায়।

উদ্দীপকে বলা হয়েছে, সাহিত্যশিল্প সৃষ্টি ও মননচর্চা ছাড়া জাতি উঁচু জীবনের অধিকারী হতে পারে না। মানবিক ও আত্মিক উৎকর্ষ সাধনের জন্য তাই লাইব্রেরির ভূমিকা অসামান্য। জাতির বিকাশ ও উন্নতির মানদণ্ডই হচ্ছে গ্রন্থাগার। জাতীয় চেতনা জাগরণের জন্য তাই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা অপরিহার্য। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক প্রমথ চৌধুরীর যে মনোভাব ব্যক্ত হয়েছে একই মনোভাব ব্যক্ত হয়েছে আলোচ্য উদ্দীপকে। উভয় ক্ষেত্রে আত্মশক্তি অর্জনে লাইব্রেরির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।

ঘ. ‘বই পড়া’ প্রবন্ধ অনুসারে বলা যায়, সাহিত্যশিল্প সৃষ্টি ও মননচর্চার পরিবর্তে প্রথম ধারা অর্থাৎ, রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড ও স্বার্থরক্ষার ধারাটি নিয়ে ব্যস্ত থাকলে আমাদের জাতীয় জীবনের উন্নতি হবে না।

বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক বলেছেন, উদরের বা পেটের দাবি রক্ষা না করলে মানুষের দেহ বাঁচে না। তেমনি মনের দাবি রক্ষা না করলে মানুষের আত্মা বাঁচে না। মনের দাবি পূরণের জন্য তাই লেখক বই পড়া ও সাহিত্যচর্চার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য তিনি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করতে বলেছেন। লাইব্রেরিকে তিনি বলেছেন মনের হাসপাতাল। লাইব্রেরির মাধ্যমেই মানুষ মননচর্চা করতে পারে এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে পারে।

উদ্দীপকে জাতীয় জীবনের অগ্রগতির জন্য দুটো ধারার কথা বলা হয়েছে। একটি রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড ও স্বার্থরক্ষার দিক অন্যটি সাহিত্যশিল্প সৃষ্টি ও মননচর্চার দিক। এখানে বলা হয়েছে যে জাতি কেবল প্রথম দিকটি নিয়ে ব্যস্ত থাকে সে জাতি উঁচু জীবনের অধিকারী হতে পারে না। উন্নত জাতি গঠনে মানসিক ও আত্মিক সাধনা অপরিহার্য। মানসিক ও আত্মিক সাধনার জন্য লাইব্রেরির কোনো বিকল্প নেই। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখকও সমধর্মী মত প্রকাশ করেছেন।

বুদ্ধিবৃত্তির চর্চা মানুষের অনন্য বৈশিষ্ট্য। পেটপুরে আহার আর ঘুমুতে পেলেই তার চলে না। সমাজ সভ্যতা নির্মাণে তাকে ভূমিকা পালন করতে হয়। সম্পদ অর্জনের পাশাপাশি তাকে চিন্তা, মনন ও জাগরণের দিক থেকে ঐশ্বর্যসম্পন্ন হতে হয়। এর জন্য আমাদের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। প্রচলিত শিক্ষার মাধ্যমে স্কুল, কলেজে প্রকৃত জ্ঞানার্জন হচ্ছে না বলে লেখক চিন্তিত। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য তিনি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। উদ্দীপকে বলা হয়েছে জাতীয় বিকাশ ও উন্নতির মানদণ্ড হচ্ছে গ্রন্থাগার। উন্নত জীবনযাপনের জন্য লেখাপড়া, সহিত্যচর্চা তথা মননশীলতার চর্চা একান্ত জরুরি।

বই পড়া প্রমথ চৌধুরী

বই পড়া শখটা মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ শখ হলেও আমি কাউকে শখ হিসেবে বই পড়তে পরামর্শ দিতে চাইনে। প্রথমত সে পরামর্শ কেউ গ্রাহ্য করবেন না, কেননা আমরা জাত হিসেবে শৌখিন নই। দ্বিতীয়ত অনেকে তা কুপরামর্শ মনে করবেন কেননা আমাদের এখন ঠিক শখ করবার সময় নয়। আমাদের এই রােগ-শােক, দুঃখ-দারিদ্র্যের দেশে সুন্দর জীবন ধারণ করাই যখন হয়েছে প্রধান সমস্যা, তখন সেই জীবনকেই সুন্দর করা, মহৎ করার প্রস্তাব অনেকের কাছে নিরর্থক এবং নির্মমও ঠেকবে। আমরা সাহিত্যের রস উপভােগ করতে প্রস্তুত নই; কিন্তু শিক্ষার ফল লাভের জন্য আমরা সকলে উদ্বাহু।

আমাদের বিশ্বাস, শিক্ষা আমাদের গায়ের জ্বালা ও চোখের জল দুই-ই দূর করবে। এ আশা সম্ভবত দুরাশা; কিন্তু তা হলেও আমরা তা ত্যাগ করতে পারি নে কেননা আমাদের উদ্ধারের জন্য কোনাে সদুপায় আমরা চোখের সুমুখে দেখতে পাইনে। শিক্ষার মাহাত্মে আমিও বিশ্বাস করি এবং যিনিই যাই বলুন, সাহিত্যচর্চা যে শিক্ষার সর্বপ্রধান অঙ্গ সে বিষয়ে কোনাে সন্দেহ নেই। লােকে যে তা সন্দেহ করে, তার কারণ এ শিক্ষার ফল হাতে হাতে পাওয়া যায় না, অর্থাৎ তার কোনাে নগদ বাজারদর নেই। এই কারণে ডেমােক্রেসি সাহিত্যের সার্থকতা বােঝে না, বােঝে শুধু অর্থের সার্থকতা।

সম্পূর্ণ পড়ুন 

শেষ কথা

পোস্ট টি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি এই পোস্ট টি আপনাদের ভালো লেগেছে এবং এখান থেকে বই পড়া সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এই রকম আরও ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকবেন। এস এস সি শিক্ষা সংক্রান্ত আরও পোস্ট এই ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে।

আরও দেখুনঃ

বই পড়া mcq প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ- এস এস সি বাংলা ১ম পত্র

বই পড়া প্রমথ চৌধুরী। বাংলা ১ম পত্র বই পড়া অনুচ্ছেদ

সুভা গল্পের mcq (সুভা গল্পের বহুনির্বাচনি প্রশ্ন

ফুলের বিবাহ- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। বাংলা ১ম পত্র পিডিএফ

অভাগীর স্বর্গ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। বাংলা ১ম পত্র এস এস সি