পদ্মা কবিতা ফররুখ আহমদ, পদ্মা কবিতার ব্যাখ্যা ও মূলভাব

পদ্মা কবিতা ফররুখ আহমদ লিখেছেন। পদ্মা কবিতাটি কাফেলা কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত করা হয়েছে হয়েছে। নদীমাতৃক বাংলাদেশ অসংখ্য নদী রয়েছে। যার মধ্যে পদ্মা অন্যতম। কবি ফররুখ আহমদ কবিতার মাধ্যমে পদ্মা নদীর সৌন্দর্য ফুটয়ে তুলেছে। কবি কবিতার মাধ্যমে পদ্মা নদীকে বিশেষ ভাবে বিশ্লেষণ করেছে।

অনেকের কাছে কবিতা টি নেই। তাই তাদের জন্য এখানে কবিতা দেওয়া আছে। এখান থেকে পড়েনিতে পারবেন। কবিতাটি একটি পিডিএফ ফাইলে দেওয়া আছে। এটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারবেন। নিচে পদ্মা কবিতা, কবিতার মূলভাব ও ব্যাখ্যা গুলো দেওয়া আছে। নিচে থেকে দেখেনিন।

 পদ্মা কবিতা

এখানে কবিতাটি দেওয়া আছে। আমি এই পোস্টে পদ্মা কবিতাটি   দিয়েছি। পোস্টের শেসের দিকে কবিতা পিডিএফ ফাইলে দেওয়া আছে। পিডিএফ সংগ্রহ করতে চাইলে নিচের দিকে চলে যাবেন।

পদ্মা কবিতা
ফররুখ আহমদ

অনেক ঘূর্ণিতে ঘুরে , পেয়ে ঢের সমুদ্রের স্বাদ ,
জীবনের পথে পথে অভিজ্ঞতা কুড়ায়ে প্রচুর
কেঁপেছে তােমাকে দেখে জলদস্যু- দুরন্ত হার্মাদ ,

তােমার তরঙ্গভঙ্গে বর্ণ তার হয়েছে পাপুর !}
সংগ্রামী মানুষ তবু দুই তীরে চালায়ে লাঙল
কঠিন শ্রমের ফল শস্য দানা পেয়েছে প্রচুর ;

উর্বর তােমার চরে ফলায়েছে পর্যাপ্ত ফসল !
জীবন – মৃত্যুর দ্বন্দ্বে নিঃসংশয় , নির্ভীক জওয়ান
সবুজের সমারােহে জীবনের পেয়েছে সম্বল ।

বর্ষায় তােমার স্রোতে গেছে ভেসে সাজানাে বাগান,
অসংখ্য জীবন , আর জীবনের অজস্র সম্ভার ,
হে নদী ! জেগেছে তবু পরিপূর্ণ আহ্বান ,
মৃত জড়তার বুকে খুলেছে মুক্তির স্বর্ণদ্বার
তােমার সুতীব্র গতি ; তােমার প্রদীপ্ত স্রোতধারা ॥

পদ্মা কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পদ্মা নামে একটি কবিতা লিখেছে। সেই কবিতা টি এখানে দেওয়া আছে। অনেকেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লিখিত পদ্মা কবিতাটি দেখেনিন। তাই তাদের জন্য সেই কবিতাটি দেওয়া আছে এখানে।

পদ্মা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

হে পদ্মা আমার,
তোমায় আমায় দেখা শত শত বার।
একদিন জনহীন তোমার পুলিনে,
গোধূলির শুভলগ্নে হেমন্তের দিনে,

সাক্ষী করি পশ্চিমের সূর্য অস্তমান
তোমারে সঁপিয়াছিনু আমার পরান।
অবসানসন্ধ্যালোকে আছিলে সেদিন
নতমুখী বধূসম শান্ত বাক্যহীন;

সন্ধ্যাতারা একাকিনী সস্নেহ কৌতুকে
চেয়ে ছিল তোমাপানে হাসিভরা মুখে।
সেদিনের পর হতে, হে পদ্মা আমার,
তোমায় আমায় দেখা শত শত বার।

নানা কর্মে মোর কাছে আসে নানা জন,
নাহি জানে আমাদের পরানবন্ধন,
নাহি জানে কেন আসি সন্ধ্যা-অভিসারে
বালুকা শয়ন-পাতা নির্জন এ পারে।

যখন মুখর তব চক্রবাকদল
সুপ্ত থাকে জলাশয়ে ছাড়ি কোলাহল,
যখন নিস্তব্ধ গ্রামে তব পূর্বতীরে
রুদ্ধ হয়ে যায় দ্বার কুটিরে কুটিরে,

তুমি কোন্‌ গান কর আমি কোন্‌ গান
দুই তীরে কেহ তার পায় নি সন্ধান।
নিভৃতে শরতে গ্রীষ্মে শীতে বরষায়
শত বার দেখাশুনা তোমায় আমায়।

কতদিন ভাবিয়াছি বসি তব তীরে
পরজন্মে এ ধরায় যদি আসি ফিরে,
যদি কোনো দূরতর জন্মভূমি হতে
তরী বেয়ে ভেসে আসি তব খরস্রোতে—

কত গ্রাম কত মাঠ কত ঝাউঝাড়
কত বালুচর কত ভেঙে-পড়া পাড়
পার হয়ে এই ঠাঁই আসিব যখন
জেগে উঠিবে না কোনো গভীর চেতন?

জন্মান্তরে শতবার যে নির্জন তীরে
গোপন হৃদয় মোর আসিত বাহিরে,
আর বার সেই তীরে সে সন্ধ্যাবেলায়
হবে না কি দেখাশুনা তোমায় আমায়?

পদ্মা কবিতার ব্যাখ্যা ও মূলভাব

এখানে আমি পদ্মা কবিতার মূলভাব টি ব্যাখ্যা করে দিয়েছি। পদ্মা কবিতাটি পদ্মা নদীকে নিয়ে লেখা হয়েছে। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং ফররুখ আহমদ এর দুই ধরনের পদ্মা কবিতা রয়েছে। উপরের অংশে কবিতা দুই টি দেওয়া আছে। নিচে কবিতার মূলভাব টি দেওয়া আছে। যারা যারা পদ্মা কবিতার মূলভাব পড়তে চান তারা নিচের দিকে চলে যান।

১৯৮০ সালে কবিতাটি কাফেলা কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলন করা হয়েছে। কাফেলা কাব্য সাতটি সনেটের সাথে গঠিতও। সংকলনভুক্ত কবিতাটি পাছ সংখ্যক সনেট। পদ্মা কবিতায় পদ্মা কবিতায় নদীর দুই রূপ প্রকাশ করা হয়েছে। এক দিয়ে এর ভয়ংকর এবং অন্যদিকে এর রূপ ও সৌন্দর্য কে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে পদ্মার পলিতে প্লাবিত এর দুই পাড়ের উর্বর ভূমি মানুষকে দিয়েছে পর্যাপ্ত ফসল, জীবনদায়িনী সবুজের সমারোহ। আবার এই পদ্মাই বর্ষা কালে মানুষের সাজানো ঘর, বাগান এবং জীবনধারণ শেষ করে দেয়। পদ্মা চতুর্দশপদী কবিতা।

পদ্মা কবিতার mcq

এখানে পদ্মা কবিতার mcq গুলো দেওয়া হয়েছে। এর সাথে সঠিক উত্তর দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যারা যারা পদ্মা কবিতা থেকে mcq প্রশ্ন পড়তে চান তারা নিচে থেকে দেখেনিন।

১. ‘সাত সাগরের মাঝি’ গ্রন্থটি কত সালে প্রকাশিত হয়?
ক. ১৯৪২
খ. ১৯৪৪
গ. ১৯৪৬
ঘ. ১৯৪৮

উত্তরঃ খ

২. ফররুখ আহমদ মরণোত্তর কোন পুরস্কার লাভ করেন?
ক. বাংলা একাডেমি পুরস্কার
খ. স্বাধীনতা পুরস্কার
গ. একুশে পদক
ঘ. ইউনেস্কো পুরস্কার

উত্তরঃ ক

৩. সাহিত্যকৃতির স্বীকৃতিস্বরূপ ফররুখ আহমদ কোন পুরস্কারটি পান?
ক. ইউনেস্কো পুরস্কার
খ. পুলিৎজার পুরস্কার
গ. নোবেল পুরস্কার
ঘ. বুকার পুরস্কার

উত্তরঃ গ

৪. ‘পদ্মা’ কবিতায় পদ্মা মূলত কীসের নাম?
ক. পাখি
খ. নদী
গ. গ্রাম
ঘ. মানুষ

উত্তরঃ খ

৫. ‘পদ্মা’ কবিতায় জীবনের পথে পথে কী কুড়ানোর কথা বলা হয়েছে?
ক. তিক্ততা
খ. নুড়ি
গ. অভিজ্ঞতা
ঘ. ধুলো

উত্তরঃ ঘ

৬. নিচের কোনটি ফররুখ আহমদের কাহিনিকাব্য?
ক. মুহূর্তের কবিতা
খ. সাত সাগরের মাঝি
গ. সিরাজাম মুনীরা
ঘ. হাতেম তায়ী

উত্তরঃ ঘ

৭. ‘হাতেম তায়ী’ কী ধরনের গ্রন্থ?
ক. নাট্যকাব্য
খ. কাব্যনাট্য
গ. কাহিনিকাব্য
ঘ. দীর্ঘকাব্য

উত্তরঃ গ

৮. ফররুখ আহমদ মরণোত্তর কোন পুরস্কার লাভ করেন?
ক. বাংলা একাডেমি পুরস্কার
খ. স্বাধীনতা পুরস্কার
গ. একুশে পদক
ঘ. ইউনেস্কো পুরস্কার

উত্তরঃ গ

৯. ফররুখ আহমদ কত তারিখে মৃত্যুবরণ করেন?
ক. ২০শে অক্টোবর
খ. ১৯শে অক্টোবর
গ. ২১শে অক্টোবর
ঘ. ২২শে অক্টোবর

উত্তরঃ খ

১০. ফরৃরুখ আহমদ কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
ক. ১৯৭১
খ. ১৯৭
গ. ১৯৭২
ঘ. ১৯৭৪

উত্তরঃ ঘ

আরও দেখুনঃ পদ্মা কবিতার mcq প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ সংগ্রহ- এইচ এস সি

পদ্মা কবিতা পিডিএফ সংগ্রহ

নিচে পদ্মা কবিতা পিডিএফ ফাইল দেওয়া আছে। এই ফাইল থেকে পদ্মা কবিতাটি পিডিএফ আকারে সংগ্রহ করতে পারবেন। নিচের একটি লিন্ম দেওয়া আছে। এই লিঙ্কে ক্লিক করে আপনারা পিডিএফ ফাইল টি সংগ্রহ করে নিবেন। এখানে পদ্মা নিয়ে দুই টি কবিতাই দেওয়া আছে। যাদের পিডিএফ প্রয়োজন নিচে থেকে সংগ্রহ করে নিন।

পিডিএফ  সংগ্রহ

শেষ কথা

আশা করছি এই পোস্ট থেকে পদ্মা কবিতা ফররুখ আহমদ সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এই রকম আরও ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকবেন। নিচে আপনাদের জন্য শিক্ষামূলক কিছু পোস্ট দেওয়া আছে দেখেনিতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা সংক্রনাত সকল ধরনের পোস্ট নিয়মিত প্রকাশ করা হয়।  ভালোথাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।